রঘুনন্দন রেঞ্জের বনভূমির তথ্যাদি (একরে)
বিট কোড |
বিটের নাম |
২০ ধারায় সংরক্ষিত |
৪ ধারায় সংরক্ষিত |
উপ-মোট |
হস্তান্তরিত বনভূমি |
রেঞ্জের অধীন বনভূমি |
১ |
শাহপুর |
৩৪৯৮.৫০ |
- |
৩৪৯৮.৫০ |
৬১৭.৯৫ |
২৮৮০.৫৫ |
২ |
শালটিলা |
৩২২৭.৫০ |
- |
৩২২৭.৫০ |
- |
৩২২৭.৫০ |
৩ |
শাহজীবাজার |
১০৬৩.০০ |
৯৭৮.৬০ |
২০৪১.৬০ |
১৫৫১.০৭ |
৪৯০.৫৩ |
৪ |
জগদীশপুর |
২০২১.০০ |
- |
২০২১.০০ |
- |
২০২১.০০ |
রেঞ্জের সর্বমোট |
৯৮১০.০০ |
৯৭৮.৬০ |
১০৭৮৮.৬০ |
২১৬৯.০২ |
৮৬১৯.৫৮ |
রঘুনন্দন রেঞ্জ প্রতিষ্ঠার ইতিহাসঃ
দ্য ঢাকা গেজেট, সেপ্টেম্বর ১৮, ১৯৬৯
সেপ্টেম্বর ১৮, ১৯৬৯ খ্রিঃ সালে ঢাকা গেজেটের মাধ্যমে হবিগঞ্জ রেঞ্জকে দুইটি রেঞ্জে ভাগ করা হয়- হবিগঞ্জ রেঞ্জ (হেডকোয়ার্টার শায়েস্তাগঞ্জ) এবং রঘুনন্দন রেঞ্জ (হেডকোয়ার্টার শাহপুর)।
প্রতিষ্ঠাকালীন রঘুনন্দন রেঞ্জের আয়তন ছিলো ১৪,৩৫০ একর এবং ৬ টি বিট (শালটিলা, জগদীশপুর, শাহপুর এবং শাহজীবাজার, সাতছড়ি, ও তেলমাছড়া) ছিলো। বর্তমানে তেলমাছড়া এবং সাতছড়ি বিট দুইটি সাতছড়ি রেঞ্জের অধীন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
তালিকা ১: প্রতিষ্ঠাকালীন রঘুনন্দন রেঞ্জের তথ্য (সূত্রঃ দ্য ঢাকা গেজেট, সেপ্টেম্বর ১৮, ১৯৬৯)
বিটের নাম |
বিটের অধীন বনভূমি |
রিজার্ভের অধীন বনভূমি |
মোট বনভূমি |
শালটিলা |
২,৬৫০ একর |
রঘুনন্দন রিজার্ভ ফরেস্ট ১০,০০০ একর রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ ১৫০ একর |
১০,১৫০ একর |
তেলমাছড়া |
২,০০০ একর |
||
জগদীশপুর |
২,৩০০ একর |
||
সাতছড়ি |
১,৬০০ একর |
||
শাহপুর |
৪,১০০ একর |
পানছড়ি একোয়ার্ড ফরেস্ট ২,৫০০ একর |
২,৫০০ একর |
শাহজীবাজার |
১,৭০০ একর |
উচাইল রিজার্ভ ফরেস্ট ১,৭০০ একর |
১,৭০০ একর |
রঘুনন্দন রেঞ্জের অধীন মোট বনভূমি |
=১৪,৩৫০ একর |
বর্তমানে রঘুনন্দন রেঞ্জে দুইটি সংরক্ষিত বনভূমি রয়েছে। যথা- রঘুনন্দন হিলস রিজার্ভ ফরেস্ট এবং উচাইল রিজার্ভ ফরেস্ট।
রঘুনন্দন রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণার ইতিহাসঃ
রেভেন্যু ডিপার্টমেন্ট, অক্টোবর ২২, ১৯১৪
আসাম ফরেস্ট রেগুলেশন, ১৮৯১ এর ধারা ১৭ অনুসারে ডিসেম্বর ১, ১৯১৪ খ্রিঃ হতে রঘুনন্দন পাহাড়ের ১০,০০০ একর (সাতছড়ি ও তেলমাছড়ার অংশ ও অন্তর্ভুক্ত এবং শাহপুরের অংশ ব্যতীত) ভূমিকে রঘুনন্দন হিলস রিজার্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
মার্চ ৬, ১৯৩৯
আসাম ফরেস্ট রেগুলেশন, ১৮৯১ (সংশোধিত ১৯১২)-এর ধারা-২৮ অনুসারে রঘুনন্দন হিলস রিজার্ভের ১৫০ একর ভূমির রিজার্ভ আদেশ স্থগিত করা হয় এবং Disforest করার অনুমতি দেয়া হয়। পশুচারণের জন্য এই ১৫০ একর বনভূমিকে ডি-রিজার্ভ করা হয়েছিলো।
দ্য বাংলাদেশ গেজেট, এপ্রিল ৮, ১৯৭৫
বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারাবলে মার্চ ৬, ১৯৩৯ সালে, যে ১৫০ একর বনভূমিকে ডি-রিজার্ভ করা হয়েছিলো তা পুনরায় রিজার্ভ করার ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু, উক্ত ১৫০ একর বনভূমিতে বন সংলগ্ন এলাকার জনগোষ্ঠীর জন্য শুধুমাত্র পশুচারণের (বিনামূল্যে) অনুমতি প্রদান করা হয়।
শাহপুর বিটের অধিগ্রহণকৃত ২,৫০০ একর বনভূমিকে রিজার্ভ ঘোষণাঃ
দ্য ঢাকা গেজেট, ডিসেম্বর ২২, ১৯৬০
ডিসেম্বর ২২, ১৯৬০ সালে বন আইন, ১৯২৭ এর ধারা-৪ মোতাবেক তৎকালীন গভর্নর রঘুনন্দন হিল রিজার্ভ সংলগ্ন প্রায় ২,৫০০ একর বনভূমিকে রিজার্ভ ঘোষণা করেন। উক্ত বনভূমি জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ অনুসারে এপ্রিল ২, ১৯৫৬ সালের ২টি নোটিফিকেশনের (নোটিফিকেশন নং-৪৮২৯ ও ৪৮৪৫) মাধ্যমে অধিগ্রহণ করা হয়েছিলো।
উক্ত বনভূমির সীমানা: উত্তরে – উচাইল রিজার্ভ ফরেস্ট, লালচাঁন্দ চা বাগান এবং পানছনি মৌজার সেটেল ল্যান্ড শিট নং ২; পূর্বে – পানছড়ি মৌজার সেটেল ল্যান্ড শিট নং ১ ও ৩; দক্ষিণে- রঘুনন্দন রিজার্ভ পাহাড় ও পানছড়ি মৌজার সেটেল ল্যান্ড শিট নং ২ ও ৩; পশ্চিমে- বাংলাদেশ রেলওয়ে লাইন ও লোকাল বোর্ড রাস্তা।
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১১
বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারাবলে ডিসেম্বর ২২, ১৯৬০ সালে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে, শাহপুর বিটের অধীন অধিগ্রহণকৃত ২,৫০০ একর (কম বা বেশি) বনভূমিকে রিজার্ভ ফরেস্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
উচাইল রিজার্ভ ফরেস্ট ঘোষণার ইতিহাসঃ
বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, এপ্রিল ৩, ১৯৭৬
বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারা অনুসারে, “হবিগঞ্জ উচাইল পশুচারণ ব্লক-এ” হিসেবে পরিচিত ১,০৬৩ একর ভূমিকে উচাইল রিজার্ভ ফরেস্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস